আমার আরিফুল আহমেদ। আমি একজন নূতন টিউনার। সবাইকে সালাম আসসালামু আলাইকম
। আমার প্রথম টিউনে আমি সবার দোয়া চাই যাতে সামনের দিকে সবাইকে ভালো কিছু
উপহার দিতে পারি। জানিনা কতটুকু দিতে পারব কিন্তু চেষ্টা করব নূতন
কিছু দেয়ার ইনশাআল্লাহ।
থ্রিজি নিলামের আগেই অনিষ্পন্ন
বিষয়ের সমাধান চায় সেলফোন অপারেটররা। পাশাপাশি এ খাতে বিনিয়োগের
নিশ্চয়তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। তবে থ্রিজি নিলামে
অংশ নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানিয়েছে অপারেটররা। গত
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে থ্রিজি নিলাম প্রসঙ্গে
নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরেন সেলফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
‘টেলিকম পলিসি ফর ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে
গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন্স অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ)।
আগামী ২ সেপ্টেম্বর থ্রিজির বাণিজ্যিক সেবাদানের জন্য তরঙ্গ বরাদ্দের নিলাম
অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দুই দফায় ২৪ জুন ও ৩১ জুলাই নিলামের দিনক্ষণ
নির্ধারণ করা হলেও সম্প্রতি তা পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সেমিনারে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ বলেন, থ্রিজি নিলামের আগেই এ খাতে বিনিয়োগের
অনিশ্চয়তা, মূল্য সংযোজন কর ও ট্যাক্সসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সমাধান করা
প্রয়োজন।
বাংলালিংকের সিইও জিয়াদ সাতারা বলেন, থ্রিজিতে বিনিয়োগের
জন্য প্রস্তুত বাংলালিংক। এজন্য বিনিয়োগের নিশ্চিত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ
খাতে বিদ্যমান বিভিন্ন অনিষ্পন্ন বিষয়ের দ্রুত সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন
তিনি।
এ খাতে বিনিয়োগের জন্য স্বচ্ছ নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ নিশ্চিত করার
দাবি জানান রবির সিইও মাইকেল কুনার। তিনি বলেন, বিনিয়োগের নিশ্চয়তা ও
নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্বচ্ছতার ওপরই থ্রিজি নিলামে রবির অংশগ্রহণের বিষয়টি
নির্ভর করছে।
অপারেটরদের এসব দাবি প্রসঙ্গে সেমিনারে উপস্থিত বিটিআরসি
চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, অপারেটরদের সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে
আদালতে মামলা চলছে। কমিশনের বেঁধে দেয়া বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত না হওয়ার
কারণে অপারেটররা আদালতে গেছে। ফলে আদালত এক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত নেবেন,
তা-ই মেনে নিতে হবে। রিবেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমে অপারেটররা
রিবেট পেলে অবশ্যই স্বাগত জানাবে বিটিআরসি।
প্রসঙ্গত, থ্রিজি নিলামের
আগেই লাইসেন্সের ওপর প্রযোজ্য মূল্য সংযোজনকর কমানো, সিম ট্যাক্স মওকুফ ও
টুজি লাইসেন্সের মূল্য সংযোজন করের ক্ষেত্রে ছাড় বা রিবেটের দাবি জানিয়ে
আসছে সেলফোন অপারেটররা। এর মধ্যে রিবেটের বিষয়ে আদালতেও গেছে তারা। এরই
মধ্যে সিম ট্যাক্স কমিয়ে ৩০০ টাকা ও থ্রিজি লাইসেন্সের ওপর ভ্যাট কমিয়ে
সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সেমিনারে নজরুল ইসলাম
খান বলেন, অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, থ্রিজি কবে আসবে। আমি কোন উত্তর দিতে
পারি না। এটা খুবই লজ্জার। সাড়ে ৪ বছরেও থ্রিজি হয়নি। ৬ মাসে ৩ বার
পেছানো হয়েছে নিলামের সময়সূচি।
তিনি বলেন, দেশে ৩০ হাজার
তরুণ-তরূণী আউটসোর্সিংয়ে যুক্ত। তারা বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
ব্যবহার করে। কিন্তু কম গতির কারণে তাদের এ কাজ ব্যাহত হয়। থ্রিজি চালু
হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
এতে তাদের আয় বাড়বে। দেশে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আসবে।
অবশ্য
তাঁর বক্তব্যের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস জানান, আগামি
২ সেপ্টেম্বর থ্রিজির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়সূচি আর পেছানো হবে না।
ডাক
ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের
দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশে ইন্টারন্টে ব্যবহারকারীর এক
শতাংশ এ সুবিধা পায়। চীনে এটি ৩০ শতাংশ।
তিনি বলেন, সরকার টেলিযোগাযোগ খাতকে চাঙ্গা করতে চায়। আর এ কারণেই থ্রিজিতে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট ধার্য করা হয়েছে।
প্রধান
অতিথি হিসেবে এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা
খাতুন। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ,
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু.
টিউন কেমন হলো জানাবেন।